‘বেঁচে থাকার মতো আনন্দ আর কিছুই নেই’ – এরচে সহজ সুন্দর সত্য এ পৃথিবীতে খুব কমই আছে।যারা মৃত্যুকে কাছ থেকে দেখেছে তারাই জানে বেঁচে থাকার আনন্দ কতটুকু…
জুলাই মাসের ছয় তারিখ। ঢাকায় একটি গেরিলা বাহিনী ঢুকেছে। যার নেতৃত্বে আছে বদিউল আলম নামের ছেলেটি। দেখতে রোগা আর ছোটখাটো। শহরে আত্মীয়-স্বজন থাকলেও নিজের নিরাপত্তা এবং আত্মীয়পরিজনদের নিরাপত্তার কথা ভেবে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে না। মতিন সাহেব নামের এক ভদ্রলোকের বাসায় এক সপ্তাহের জন্য থাকে বদিউল আলম। মতিন সাহেবের পরিবারে তেমন কেউ নেই। স্ত্রী সুরমা আর দুই মেয়ে রাত্রি, অপালা এবং কাজের মেয়ে বিন্তি। রাত্রি ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে ফিজিক্সে পড়াশোনা করে। আর অপালা ক্লাস এইটে পড়ে। রাত্রি চুপচাপ স্বভাবের হলেও অপালা ভীষণ ছটফটে। সম্পূর্ণই বিপরীত।আর কাজের মেয়ে বিন্তি কোন কাজ আগ্রহ নিয়ে না করলেও বাড়ির গেট খোলার কাজ সে মহা আগ্রহ নিয়ে করে।বদিউল এ বাসায় উঠার পর সুরমা প্রথম একটু আপত্তি করেছিল তার থাকার ব্যাপারে। কারণ বাসায় দুজন মেয়ে আছে। তাদের নিরাপত্তার কারণেই তার আপত্তি ছিল। কিন্তু বদিউলেরর দূর্বিনীত রুপের কাছে হার মেনে যায় সুরমা।এই বদিউল ছেলেটাকেই এক সময় সুরমা ভীষণ পচ্ছন্দ করে ফেলে। এমনকি এ বাসার বড় মেয়ে রাত্রির মনেও বদিউল নামের ছেলেটি কখন যেন একটু জায়গা করে নেয়।
এক সপ্তাহের মধ্যে ঢাকায় মোটামুটি বড়সড় দুইটি অপারেশনের দায়িত্ব নিয়ে আসে বদিউলরা। প্রথম অপারেশনে সাকসেসফুল হয়। দ্বিতীয় অপারেশন শেষ করেই তার এ বাসা ছেড়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু সব উলটপালট হয়ে যায় সেদিন। কি হয় সেদিন?
তার নিজের হাতে নির্মিত প্রথম সিনেমা এটিই । প্রথম সিনেমা ‘আগুনের পরশমণি’ দিয়েই পরিচালক হিসেবে সবার নজরে আসেন হুমায়ূন আহমেদ। পেয়ে যান
There are no reviews yet.