পাঁচটি ভয়ের গল্প নিয়ে এই বই। গল্পগুলো ও, আলমারি, মা-মণি, মরিয়মের গ্রাম, মড়া।
ও – কোরবানির ছুটিতে সবাই যখন বাড়িতে চলে গেছে, মাদ্রাসার হুজুর করিমুল্লার কাছে জিনে ধরা এক রুগীকে নিয়ে আসে চিকিৎসা করাতে দুজন লোক। হুজুর তখন মাদ্রাসায় নেই। বিবিকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি গেছেন। মাদ্রাসায় তখন আছে শুধু মতিন আর গহর। মাদ্রাসার দুই ছাত্র। রুগীকে রেখে পালায় লোক দুজন, এদিকে মতিন আর গহর পড়ে বিপদে। রাত হয়ে আসছে।
আলমারি – লেখক বই রাখার জন্য একটা স্টিলের আলমারি কিনে আনেন। কিন্তু বিপত্তি বাধে রাত বিরাতে আলমারির ভিতর থেকে দুম দাম শব্দ ভেসে আসাতে। মনে হয় যেন আলমারির ভিতর কেউ আছে, চায় বের হয়ে আসতে। এক বৃষ্টির রাতে সে শব্দের উৎস বেরিয়ে আসে লেখকের সামনে।
মা- মণি – মা শায়লা মারা যাবার পর মেয়ে টুম্পা একা হয়ে যায় একদম। নার্গিস জাহিদ দম্পতি যদিও শিশু টুম্পাকে নিজের মেয়ের মতই লালন পালন করা শুরু করে। তবু ঝামেলা হয়ে দেখা দেয়, টুম্পার প্রায়শ মৃত মায়ের সাথে টেলিফোনে কথা বলাটা।
মরিয়মের গ্রাম- গ্রামের গ্রাম খুকসা বাড়ি। সে গ্রামের মানুষ জন গ্রামের বাইরের কারও সাথে কথা বলে না, মিশে না। অদ্ভূত ব্যাপার হলো, গ্রামের মাতবর হলো না-কি এক দানো, অপদেবতা। যে কিনা গ্রামবাসীর ডাকে এসে সাড়া দেয়। সে গ্রামে লেখক ও তার বন্ধু রতন গিয়ে আবিষ্কার করে অদ্ভুত এক বিষয়
মড়া- মড়া কারও নাম হতে পারে? নামের মতই অদ্ভুত মানুষ মড়া। গ্রামের লোক তাকে পিশাচ ডাকে। মড়াকে শাস্তি দেবার ব্যবস্থা করে গ্রামবাসী। কিন্তু মড়া জিন্দালাশ, ফিরে আসে মৃত থেকেও।
There are no reviews yet.